বাংলাদেশ রবিদাস সংস্থা, কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে মৌন প্রতিবাদ
পুরান ঢাকার ওয়ারী রবিদাস পাড়ার সংখ্যালঘু মৃত নারী ও তার পরিবারের নামে মারপিটের মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা ও তার দুই সন্তানকে খুন জখমের হুমকি ও হয়রানির প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে মতবিনিময় সভা পরে মানববন্ধন হয়েছে। বাংলাদেশ রবিদাস সংস্থা, কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে ওই কর্মসূচিতে বক্তারা ওই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি- শান্ত রবি দাস, সাধারণ সম্পাদক- রণজিৎ রবি দাস, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক- নয়ন রবি দাস প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, মৃত সংখ্যালঘু নারীর নামে মারপিটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলা নং- সি. আর-৮৯/২০। এই মামলায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জারি হওয়া সমনটি ১৫ মার্চ মৃত পূর্ণিমার বাড়িতে পৌঁছে। তিনি দুই বছর আগে মারা গেছেন। মামলাটির বাদী একই এলাকার বাসিন্দা আলতাফুল হুদা টিটু। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- সুইটি রবি দাস ও শিল্পী রবি দাস। সুইটি নামে ওই পরিবারে কেউ নাই।
রবি দাস পাড়ার এই পরিবারকে ভিত্তিহীন অভিযেযাগে আরেকটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন- আলতাফুল হুদা টিটুর দাবি বহুতল ভবনের সীমানা প্রাচীরের পাশে যে বাথরুম, টিউবওয়েল ও পানি বিশুদ্ধ করার মেশিন রয়েছে, এগুলো মৃত পূর্ণিমার পরিবার স্থাপন করেছে। অথচ সেগুলো সিটি করপোরেশনের অনুমতিক্রমে এনজিও স্থাপন করেছে। এসবের সুবিধা রবি দাস পাড়ার সব বাসিন্দা ভোগ করেছেন। এসব কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন তৎকালীন কাউন্সিলর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ (দক্ষিণ) সভাপতি আলহাজ আবু আহমেদ মান্নাফি।
১২/৪০, হেয়ার ষ্ট্রীটের রবি দাস পাড়ায় ৩০০টি পরিবার বসবাস করছে। সরকারের কাছ থেকে ১০০ বছরের জন্য লিজ হিসেবে প্রাপ্ত এই জায়গায় ১৯৫টি ঘর রয়েছে। এই সম্প্রদায়ের সদস্যরা নিজ নিজ সংগতি অনুযায়ী অবকাঠামো তৈরী করে বসবাস করছেন।
প্রতিমা রানী রবি দাস ও শিল্পী রবি দাস নামে দুই বোন বংশ পরম্পরায় ওয়ারীর রবি দাস পাড়ার বাসিন্দা। তাদের মা পূর্ণিমা ও পিতা বিগণ রবি দাস পরলোকগত। দুই বোন এনজিওতে চাকরি করেন।
তারা জানান, তাদের ঘরটি দোতলা ১৯৯৯ সাল থেকেই। বার বার টিন-কাঠ পাল্টাতে হতো বলে ২০১৮ সালে পুনঃনির্মাণ করেন। পরিবর্তন শুধু টিনের জায়গায় ছাদ দেওয়া হয়েছে। জায়গা ওই টুকুই।